মুখে মাখন মাখলে কি হয় বিস্তারিত জেনে নিন

মুখে মাখন মাখলে কি হয় তা কই জানেন। গরুর দুধ দিয়ে তৈরি মাখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রকম উপায়ে সাড়া ফেলে আসছে। আমরা প্রতিদিনই কোন না কোন কাজে মাখন ব্যবহার করে থাকি। মুখে মাখন মেখে রূপচর্চা সহ আরো ইত্যাদি কাজ করা হয়ে থাকে। 
রান্নার কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের ঔষধ হিসেবেও মাখন ব্যবহার করা হয়। গরু ছাগল মহিষ এবং গৃহপালিত পশুর দুধ থেকে আমরা এই মাখন তৈরি করে থাকি। মাখন এর যেমন উপকারিতা আছে তেমনি আবার অপকারিতা আছে।

ভূমিকা

আমাদের আজকের আর্টিকেলটা মাখন সম্পর্কে লেখা হয়েছে এবং মুখে মাখন মাখলে কি হয় তার বিস্তারি জানতে পারবেন। আমাদের এই আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ শেষ করলে আপনি জানতে পারবেন বাচ্চাদের মাখন খাওয়ানোর নিয়ম, মাখন তৈরি করা হয় কিভাবে, মাখন খাওয়ার উপকারিতা, মুখে মাখন মাখলে কি হয়, মুখের জন্য কোন ধরনের মাখন মাখা উচিত। 

এছাড়া আরো জানতে পারবেন মাখন কি কি কাজে লাগে, প্রতিদিন কতটুকু মাখন খেলে আমাদের শরীরের জন্য উপকার হবে। মাখন বানানোর সমস্ত ইস্টেপ। তাই দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।

বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম

অনেক মায়েরা আছে মাখন সম্পর্কে কিছুই জানে না অথচ বাচ্চাদের মাখন খাওয়াতে ভয় পায়। তাদের জন্য আজকের এই অংশটি। আপনারা এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বাচ্চাদের মাখন খাওয়ালে কি হয় সম্পূর্ণ জানুন। আপনি যদি আপনার বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম মেনে মাখন খাওয়ান তাহলে অনেক রকমের উপকার পাবেন। 

বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ এবং সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া প্রয়োজন। অনেক বাচ্চা আছে যারা মাখন খেতে একদমই পছন্দ করে না। তাদেরকে নিয়মিত যেই খাবার খাওয়ান সেই খাবারের সাথে মাখন মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। যে সমস্ত বাচ্চাদের বয়স চার মাস পূরণ হয়েছে তাদেরকে খাবারের সাথে মাখন মিশিয়ে খাওয়াতে পারে্ন। 


মাখনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ যা বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ গঠনের সহায়তা করে। মাখনকে আমরা আবার বাটারও বলে থাকি। মাখনে রয়েছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ। যে সমস্ত বাচ্চাদের বয়স এক বছর পূর্ণ হয়েছে সে সমস্ত বাচ্চাদেরকে অন সল্ট বাটার মাখন খাওয়াবেন। 
যে সমস্ত বাচ্চাদের বয়স এক বছরের বেশি সে সমস্ত বাচ্চাদেরকে আমল কোম্পানির বাটার মাখন খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন শিশুদের বয়স অনুযায়ী মাখন খাওয়াতে হবে। বাচ্চাদের মাখন খাওয়াতে চাইলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিবেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাখন খাওয়ালে তারা আপনাকে মাখন এর তালিকা করে দিবে। 

মাখন বাচ্চাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের উপকার করে থাকে। বয়স ভেদে এক বছরের বেশি শিশুদেরকে দুই চা চামচ বাটার মাখন খাওয়াবেন এবং এক বছরের কম শিশুদেরকে এক চা চামচ বাটার মাখন খাওয়াবেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বাচ্চাদের মাখন খাওয়াবেন। এর থেকে বেশি মাখন খাওয়ানো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে। 

যে সকল বাচ্চাদের শরীরের ওজন তুলনামূলক বেশি তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মাখন খাওয়াবেন। যে সকল বাচ্চাদের ওজন কম তাদের ক্ষেত্রে তিন চা চামচ মাখন খাওয়াতে পারে্ন। মাখনে থাকা হিলিয়াম, লরিক অ্যাসিড, বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 

মাখন স্বাস্থ্যকর কলেস্টেরল বাড়ায় মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। বাটার মাখনে রয়েছে ৭১৭ ক্যালোরি, প্রোটি রয়েছে ১৬.৮ গ্রাম,ফ্যাট ৮১ গ্রাম, স্রেট রেটেট ৫১ গ্রাম, ট্রান্স ফ্যাট ৩.৩ এছাড়াও ২৪৯৯ গ্রাম ভিটামিন রয়েছে।

মাখন তৈরি করার নিয়ম

আমরা বিভিন্ন সময় খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য মাখন ব্যবহার করে থাকি। অনেকেই আবার সকালের নাস্তার সাথে মাখন খেয়ে থাকে। অনেক সময় আমরা বাজার থেকে মাখন কিনে থাকি কিন্তু সেই মাখনে এ ভরপুর পুষ্টিগুণ নাও থাকতে পারে। আপনি নিজেই ঘরে মাখন তৈরি করতে পারবেন শুধুমাত্র দুইটি টেকনিক অবলম্বন করে। চলুন কি সেই টেকনিক জেনে নেই—

আমরা কম বেশি সবাই প্রতিদিন দুধ খেয়ে থাকি, মাখন বানাতে চাইলে দুধ থেকে সর পতি দিন জমিয়ে রাখুন। ফ্রিজের নরমালে দুই থেকে তিন দিন সর জমিয়ে রাখতে পারবেন ডিপ এর মধ্যে রাখলে ১০ থেকে ১৫ দিন রাখতে পারবেন। তারপরে একটি ফুড প্রসেসর নিয়ে ফ্রিজে রাখা মালাই বা দুধের সরের মধ্যে দিয়ে রাখুন। মালাই এর পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ফেলুন। মনে রাখবেন একটা বড় ভোলের মালাই বা দুধের সর এর মধ্যে এক কাপ পানি।

এই পরিমাণ অনুযায়ী আপনার যতটুক মালাই আছে তা বিবেচনা করে পানি দিবেন। এই প্রক্রিয়া মেনে দুই মিনিট ব্লেন্ড করলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার মাখোন। মাখন যদি আপনার শক্ত করতে চান তাহলে বরফের পানি দিয়ে আবার দুই মিনিট ব্লেন্ড করুন। মাখনের ভেতরের পানি বের করতে চাইলে হাত দিয়ে মিষ্টির মতো গোল বানিয়ে নিন। এই প্রক্রিয়া মেন্টেন করে আপনি বাজারের চাইতে পুষ্টিকর মাখন তৈরি করতে পারবেন।

মাখন খাওয়ার উপকারিতা

আপনি যদি মাখন খেতে পছন্দ করেন তাহলে এই অংশটা আপনার জন্য। মাখনে রয়েছে ভিটামিন ডি,যা হাড় বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে ক্যালসিয়াম রয়েছে, আর এই ক্যালসিয়াম হারকে মজবুত এবং শক্ত করে তোলে। ক্যালসিয়াম বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে থাকে। মাখন খেলে আমাদের ত্বক এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য মাখন খাওয়া বেশ উপকারী। চলুন আরো কয়েকটা উপকারী দিক জেনে নেই—
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
  • হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে যায়।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • হাড়ের ক্যালসিয়ামের শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
  • হাড়ের জয়েন্ট তৈলাক্ত করে তোলে।
  • চুল এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।

মুখে মাখন মাখলে কি হয়

মুখে মাখন মাখলে কি হয় চোলুন জেনে নেই। আপনারা সবাই কম বেশি ঘরোয়াভাবে মাখন তৈরি করতে পারেন। আর ত্বকের যত্নে সবচাইতে ভালো হবে ঘরের মাখন। বাজারে যে সমস্ত মাখন পাওয়া যায় তার মধ্যে অনেক রকমের ভেজাল মিশ্রিত করা থাকে। বাজারের মাখন মুখে মাখলে আমাদের ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা মুখে মাখন মাখানোর জন্য ঘরেই মাখন তৈরি করে নিব। 
ঘরের বানানো মাখন আমাদের ত্বকে অসাধারণভাবে কাজ করে থাকে। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে সুস্থ করে তোলে। তৈলাক্ত, শুষ্ক যেমন ত্বক হোক না কেন মাখনের ফেসপ্যাক মাখলে ত্বকে মশ্চারাইজার করে তুলবে।

মাখন আর কলা মিশিয়ে ফেসপ্যাকঃ প্রথমে একটি পাত্রে কলা নিন সেটা ভালো করে গলিয়ে তারপরে এক চা চামিজ বাটার মাখন ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপরে মুখে ভালো করে লাগিয়ে না শুকানো পর্যন্ত রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে।
অলিভয়েল এবং বাটার মাখনঃ একটা পাত্রে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ বাটার মাখন নিন। তারপরে এতে ২৫ গ্রামের মত অলিভয়েল তেল মিশিয়ে নিন। তারপর এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখবে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে।
নারিকেল তেল এবং মাখনঃ একটা পাত্রে ২ চা চামচ নারিকেল তেল নিয়ে তার মধ্যে এক টেবিল পরিমাণ বাটার মাখন ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপরে সেটা আপনার মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার মুখ উজ্জ্বল এবং ফ্রেশ দেখাবে।
শসা এবং বাটার মাখলঃ যদি আপনার মুখ লালচে ভাব হয়ে যায় তাহলে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করুন। অর্ধেক শসা ভালো করে মিহি করে নিন তারপর এতে দুই টেবিল পরিমাণ বাটার মাখন মিশিয়ে ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ফেসকে পরিষ্কার করে তুলবে।
এই পেরাটা শেষ করার পরে আপনারা অবশ্যই জেনে গেছেন মুখে মাখন মাখলে কি হয়।

মুখের জন্য কোন মাখন ভালো?

আমরা সকলেই কম বেশি জানি মাখন আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। মুখে মাখন মাখলে মুখের ত্বক উজ্জ্বল হয়। মুখে তৈলাক্ত ভাব থাকলে মাখন মাখলে সেটা দূর হয়ে যায়। মুখের ত্বক মশ্চারাইজার ফিরিয়ে আনে। ব্রন মেস্তা সহ বিভিন্ন প্রকারের দাগ দূর হয়ে যায় মুখে বাটার মাখন মাখলে।

এছাড়াও মুখে বাটার মাখন মাখলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে দেখতে সুন্দর লাগবে। তবে আপনি কি জানেন কোন মাখন আপনার মুখের জন্য সবচাইতে ভালো কাজ করবে না জেনে থাকলে চলুন জেনে নিন। বাজারে যে সমস্ত মাখন কিনতে পাওয়া যায় তার মধ্যে অনেক রকমের কেমিক্যাল দেয়া থাকতে পারে। 

এতে করে আপনার তকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই মুখে মাখন মাখতে চাইলে ঘরের বানানো মাখন সবচাইতে ভালো হবে। বাজারের মাখন মুখে না মেখে আমরা ঘরের বানানো মাখন মুখে মাখার চেষ্টা করব।

মাখন কি কি কাজে লাগে?

খেতে সুস্বাদু পুষ্টি গুণে ভরপুর বাটার মাখন দিয়ে আমরা নানা ধরনের কাজ করে থাকি। বাঙালি রান্নাঘর থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপায়ে এই মাখন ব্যবহার করে থাকে। রান্নার সাত বাড়াতে মাখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা খাবার। আমরা অনেকেই সকালে রুটির সাথে মাখন মিশিয়ে খেয়ে থাকি। 

কেউবা আবার সবজি রান্না করতেও মাখন এর ব্যবহার করে থাকে। চিজ বার্গার এবং পিজ্জা বানাতে মাখনের ব্যবহার হয়। কেউ কেউ তো আবার মসলা হিসাবে বাটার মাখন ব্যবহার করে থাকে। বাঁধাকপি টমেটো ইত্যাদি সবজি রান্নাতেও বাটার মাখলের ব্যবহার হয়। তাছাড়া রূপচর্চাতে মাখন এর ব্যবহার অতুলনীয়।

প্রতিদিন কতটুকু মাখন খাওয়া ভালো?

মাখন যেমন উপকার তেমনি অতিরিক্ত খাওয়াটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাখন একটি গন্ধযুক্ত খাবার। যেটি দুধের সর থেকে তৈরি করা হয়। মাখন গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি আরো অন্যান্য গৃহপালিত পশুর দুধ থেকে তৈরি করা জায়। প্রাচীনকাল থেকে মাখন সংরক্ষণ করার জন্য লবণ যুক্ত করা হয়। বিশেষ করে পরিবহন এর ক্ষেত্রে বেশি করে লবণ যুক্ত করা হতো। তবে বর্তমানে এটি আর করা হয় না। 

কারণ বর্তমান আধুনিক বিশ্বে ফ্রীজার যুক্ত অনেক পরিবহন রয়েছে। মাখন যেমন উপকার তেমনি অতিরিক্ত মাখন খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। প্রতিদিন কতটুকু মাখন খাওয়া উচিত চলুন তা জেনে নেই। প্রতিদিন এক থেকে দুই টেবিল পরিমাণ মাখন খেলে আমাদের শরীরের গারতি সাধারণত পূরণ হয়ে যায়। অতিরিক্ত মাখন খাওয়ার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে।

লেখক এর মন্তব্য

আলম বিডি একটি । এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আপনার দৈনন্দিন জীবনের নানার সমস্যা নিয়ে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করা হয়। আপনার দৈনন্দিন নানারকমের সমস্যা সমাধানের জন্য আলম বি.ডি সঙ্গে থাকুন। আমাদের আজকের আর্টিকেলটা মুখে মাখন মাখলে কি হয়, বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম এবং মাখনের আরো অনেক উপকার নিয়ে লেকা হোয়েছে। আপনার কাছে আমাদের আর্টিকেলটা কেমন লেগেছে কমেন্টে জানান। কথা হবে অন্য আরেকটি পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আসসালামু আলাইকুম।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১