লেবুতে কোন এসিড থাকে-বিস্তারিত জেনেনিন

 লেবুতে কোন এসিড থাকে, বা কুসুম গরম পানিতে লেবু মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কি আপনি জানেন না জেনে থাকলে আজকের আর্টিকেলটা আপনার জন্য। আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ পড়লে আপনি জানতে পারবেন লেবুতে কোন এসিড থাকে। 


আর এই সমস্ত এসিড আপনার শরীরের কি কি সমস্যা সমাধান করে এবং কি কি ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। তাছাড়াও এই আর্টিকেলটিতে লেবুর বিভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পেস সূচিপত্র:লেবুতে কোন এসিড থাকে

লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

মানুষের মুখে সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রণ। সাধারণত কিশোর-কিশোরীদের মুখে ব্রণ বেশি দেখা যায়। আবার যাদের মুখে তৈলাক্ত বাপ আছে তাদেরও ব্রণ এর সমস্যা দেখা দেয়। আবার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করলেও ব্রণের সমস্যা হতে পারে। লেবুর রস দিয়ে ব্রণ অতি সহজেই দূর করা যায়। লেবুর রস মুখে মাখলে ব্রণ দূর হওয়ার পাশাপাশি মুখের কালো দাগও দূর হয়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবুর রস দিয়ে ব্রণের পাশাপাশি কালো দাগ কিভাবে দূর করা যায়।

লেবুর রসঃ লেবুর রসে থাকা এসির ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। সামান্য পরিমাণ লেবুর রস হাতের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে পুরো মুখ ভালো করে লাগিয়ে নিন। মুখের যেখানে যেখানে ব্রণ আছে সেখানে অবশ্যই একটু বেশি করে লাগাবেন। লাগানো হয়ে গেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে মুখ দিয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

লেবুর রস এবং মধুঃ এক চা চামিচ লেবুর রসের সঙ্গে কিছুটা মধু মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটা ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে মুখের সঙ্গে লাগেনিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার মুখের ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ব্রণে দাগ দূর করে দিবে এবং ত্বকের কালসে বাপ দূর হয়ে যাবে।

লেবুর রস এবং কমলার রসঃ এক চা চামিচ পরিমাণ লেবুর রসের সঙ্গে এক চা চামিচ কমলার রস মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি হাতের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে পুরো মুখ ভালো করে মাখিয়ে নিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ মিশ্রণটি আপনার মুখের ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে।

দুধ এবং লেবুর রসঃ সামান্য পরিমাণ দুধের সঙ্গে এক চা চামিচ লেবুর রস ভালো করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রনটি সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন যেখানে যেখানে ব্রণ আছে সেখানে সেখানে অবশ্যই একটু বেশি করে লাগবেন। এই মিশ্রণটি আপনার ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ত্বকের কালচে ভাব এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখবে।

লেবুর রস এবং শসার রসঃ সামান্য পরিমাণ লেবুর রসের সঙ্গে কিছুটা শসার রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার মুখের ব্রণে অতি সহজেই দূর করে দেবে। এছাড়া মুখের দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বককে নরম এবং মসৃণ করে তুলতে সাহায্য করবে।

রাতে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা

লেবু পানি পান করা সম্পর্কে অনেকেই অনেক রকমের মন্তব্য করে থাকে। লেবু পানি পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত লেবু পানি পান করলে শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে পান করলে ত্বক লাবণ্য হয়ে ওঠে। তাছাড়া ও বিশেষজ্ঞরা লেবু পানি সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করে থাকে। 

এই ফলের মধ্যে লেবুতে সবচাইতে বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। এক চা চামিচ পরিমাণ লেবুর রসে রয়েছে ১০ মি.লি.গ্রাম ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হৃদ রোগের সমস্যা সমাধান হয়।

প্রতিনিয়ত ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে মরণব্যাধিক ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে যে সমস্ত রোগ বাসা ভাদে নিয়মিত লেবুর রস খাওয়ার ফলে সে সমস্ত রোগ শরীরে আসতে পারবে না। রাতে ঘুমানোর আগে লেবুর রস চোখে ছানি পড়া থেকে মুক্তি দিবে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করবে।

আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যাবেন তার কিছুক্ষণ আগে গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। গরম পানি আর লেবুর রস শরীরের জন্য কতটা উপকার আপনি না খেলে সেটা বুঝতে পারবেন না। আপনি যদি প্রতিনিয়ত রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন। আপনার সর্দি জ্বর যে কোন ধরনের অসুস্থতা দেখা দিলে চিকিৎসক আপনাকে লেবু খাওয়ার পরামর্শ দেবে।

কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে চা কফি খেয়ে থাকেন এটি শরীরের উপকার করার চাইতে ক্ষতি বেশি করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে চা কপি না খেয়ে যদি আপনি কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খান তাহলে আপনার শারীরিক অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

অনেক মানুষ আছে যারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই লেবুর রস আর একটু মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন তাদের কাছ থেকে আপনি পরামর্শ নিতে পারেন। লেবুর রস মধু মিশিয়ে সকালে কুসুম গরম পানির সাথে খেলে সারাদিন ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যাবে। লেবুর রস মধু গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কি কি উপকার পাবেন চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যায়।

ওজন কমায়ঃ লেবু আর বর মধু গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে সহজেই মেদ কমাতে পারবেন আপনার শরীর থেকে। তাই যে সমস্ত ব্যক্তি ডায়িট করেন তারা সকালে খালি পেটে লেবুর রস আর মধু গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাবে। এই মিশ্রনটি খাওয়ার ফলে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।

গ্যাসের সমস্যা সমাধান করেঃ যাদের গ্যাস অম্বল আছে তারা প্রতিদিন সকালে সামান্য গরম পানির সঙ্গে মধু এবং লেবু মিশিয়ে খাবে। এর ফলে আপনার পেটে জমে থাকা গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তি পাবেন।

হজম শক্তি বাড়ায়ঃ যদি কোন খাবার খেলে আপনার বদহজমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে লেবু মধু হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খাবে। এই পানীয়টি আপনার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। খাবার সহজেই হজম হয়ে যাবে আপনার শরীরের অনেক সমস্যা সমাধান করবে।

গলার ইনফেকশন সমাধান করেঃ সর্দি কাশি বা গলার ইনফেকশন সমাধান করতে বেশ কার্যকারী লেবু মধু মেশানো গরম পানি। লেবু এবং মধু এই দুইটি উপাদানই শরীরে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে থাকে। এর ফলে গলার ইনফেকশন দূর করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে লেবু মধু গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়ঃ লেবু মধু মেশানো গরম পানি শরীরের ভিতরে থাকা বিষাক্ত টকসিট বের করে দিতে সাহায্য করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যাওয়ার ফলে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে এবং চেহারায় গ্লো বেড়ে যায়। নিয়মিত লেবু মধু গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে।

লেবুতে কোন এসিড থাকে

আপনি কি জানেন লেবুতে কোন এসিড থাকে না জেনে থাকলে চোলুন জেনে নেওয়া জাক লেবুতে কোন এসিড থাকে।লেবুতে থাকা এসিড মূলত জৈব এবং অজৈব অ্যাসিডে শ্রেণীবন্ধ করা হয়ে থাকে। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে আমরা যে সমস্ত টক জাতীয় খাবার ব্যবহার করে থাকি সে সমস্ত খাবারে থাকে জৈব অ্যাসিড।

এর মধ্যে রয়েছে লেবু, বরই, আপেল, ভিনেগার ইত্যাদি। অজৈব এসিড গবেষকদের ব্যবহার করা অ্যাসিড গুলি যা মূলত খুব শক্তিশালী অ্যাসিড সেগুলোকে অজৈব অ্যাসিড বলে। যেমন হাইড্রোক্লোরিন অ্যাসিড, সালফিউরিক অ্যাসিড ইত্যাদি। এই হল লেবুর অ্যাসিডের শ্রেণি বিন্যাস। তবে লেবুতে থাকা মূল অ্যাসিড গুলো হল-

  • মার্লিক এসিড
  • সাইট্রিক এসিড
  • অ্যাসিড এসিড
  • টারটারিক এসিড
  • এসেটিক এসিড
  • কার্বলিক এসিড

খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন লেবু শরীরের টক্সিট পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। টক্সির শরীর থেকে বের হয়ে গেলে যে কোন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। খালি পেটে লেবু পানি খেলে শরীরে অনেক জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। শরীরে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে দেয় সকালে খালি পেটে লেবু পানি খেলে। 

খালি পেটে নিয়মিত লেবু পানি খেলে আরো কি কি উপকার মিলবে চলুন জেনে নেওয়া যাক। লেবুতে থাকা সাইটিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না। তাছাড়াও লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে হেজ প্রোটিন যার রক্তনালীকে সচল রাখতে সাহায্য করে। রক্তনালী সচল থাকার কারণে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে যায়। 

লেবুতে থাকা ডায়োমিন আমাদের রক্তের ভিতরে প্রবাহ কমিয়ে রক্তনালীকে শক্ত এবং মজবুত করে তোলে। লেবুর ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় আমাদের ইমিউনিটি পাওয়ারকে বুস্ট করতে সাহায্য করে। এবং রক্তের ভিতর থাকা কালজিং কেউ উৎপাদন করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও শরীরে চোট লাগা যেকোনো ক্ষত সহজেই নিরময় করতে সাহায্য করে লেবু। 

ডাইজেসনকে বুস্ট করতে সাহায্য করে। লেবুর রস পাকস্থলীতে এসিড বাড়িয়ে তুলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। লেবুর ভিতরে থাকা প্র্যাকটিক নামক ফাইবার আমাদের ক্ষুধা কমিয়ে আমাদের ওজন মেন্টেনে সাহায্য করে। তাছাড়াও নিয়মিত সকালে লেবুর রস খেলে ডিহাইজেশন কমিয়ে তোলে। লেবুর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম আমাদের হাটকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

তাছাড়া পটাশিয়ামের গার্তি কমাতেও আমরা খালি পেটে লেবু খেতে পারি। লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিজেন আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিজেন করাজিং উৎপাদনে সাহায্য করে। যেটি আমাদের বয়সের বার্ধক্য থেকে মুক্তি দেয়। তাছাড়াও লেবুতে রয়েছে-
  • ক্লোরিন- ২৯ গ্রাম
  • ওয়াটার- ৮৯%
  • প্রোটিন ১.১ গ্রাম
  • সুগার ২.৫ গ্রাম
  • ফাইবার ২.৮ গ্রাম
  • ফ্যাট ০.৩ গ্রাম

ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা

লেবু এবং ঠান্ডা পানি একসাথে খেলে আমাদের গরমের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দেয়। লেবু ছোট একটি ফল হলেও এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি বিদ্যমান রয়েছে। সম্মানিত পাঠক লেবু এবং ঠান্ডা পানি আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার করে চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

যখন আপনার বয়স বাড়বে অর্থাৎ আপনি বার্ধক্য পরিণত হবেন তখন আপনার হজম শক্তি অনেকটাই কমে যাবে। বয়স বাড়লে পাকস্থলীতে খাবার গিয়ে সহজেই হজম হতে চায় না। এ অবস্থায় লেবু এবং ঠান্ডা পানি আপনার হজমে ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। গবেষকেরা লেবুতে জেই ফাইবারের এর কথা বলেছে সেটি আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। 

অনেক সময় আমাদের লিভারে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য জমে যায়। লেবু এবং ঠান্ডা পানি একসাথে খেলে আমাদের লিভারের বর্জ্য কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি শরীরে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে লেবু এবং ঠান্ডা পানি। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের মুখে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া বাসা বাদে ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। 

প্রতিদিন নিয়ম করে লেবু এবং ঠান্ডা পানি খেলে আমাদের মুখের ভিতরে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাততে দেয় না। এর ফলে আমাদের মুখের ভিতরে কোন সময় দুর্গন্ধ দেখা দেয় না। অতিরিক্ত লেবু এবং ঠান্ডা পানি দাঁতের এনিমেলকে নষ্ট করে দিতে পারে। লেবু এবং ঠান্ডা পানি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল এবং নমনীয় করে তুলবে। লেবু এবং ঠান্ডা পানি শরীরের টক্সিট নামক বিষাক্ত পদার্থ প্রতিরোধ কোরে থাকে।

লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

লেবু খেলে যে ওজন কমে এটা আমরা কম বেশি সবাই মনে করে থাকি। অনেকেই আবার প্রতিদিন সকালে ওজন কমানোর জন্য খালি পেটে লেবু জল খেয়ে থাকে। লেবু খেলে যে ওজন কমে এই কথার কতটা বৃদ্ধি আছে আপনি সেই সম্পর্কে কি সম্পূর্ণ জানেন। না জেনে থাকলে পোস্ট টা আপনার জন্য চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবু দিয়ে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে। 

লেবুর রস মিশানো পানি আমরা সর্বত হিসেবে সর্বক্ষণই ব্যবহার করে থাকি। লেবুর রস পাকস্থলীর শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে। তাই আপনারা যারা ভোজন রসিক আছেন তারা অতিরিক্ত হারে খাবার খাওয়ার পরে কোমল পানীয় না খেয়ে খাবার হজমের জন্য লেবু পানি খেতে পারে। অনেকে আছে যারা সকালে ঘুম থেকে উঠে চা কফি খেয়ে থাকেন। 

এর ফলে আপনার শরীরে পানির শূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ সকল সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে চাইলে দিনের শুরু করতে পারেন লেবু পানি মিশিয়ে খেয়ে। ৪০০ গ্রাম গরম পানিতে তিন চা চামিচ লেবুর রস দিয়ে একটু মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি আপনাকে খাবার হজম করতে সাহায্য করবে। ক্ষুধা কম লাগবে এর ফলে সহজে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে। 

হাফ লিটার পানিতে কিছুটা লেবু কুচি কুচি করে কেটে জিরা মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ফুটানো হয়ে গেলে মিশ্রণটা ভালো করে ছেকে নিন। হালকা ঠান্ডা হয়ে গেলে কিছুটা মধু মিশিয়ে পান করুন। এর ফলে আপনার শরীরের জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি সহজেই গলে যাবে। এতে আপনি দেখতে অনেকটা স্লিম হয়ে যাবে। আপনি যদি প্রতিদিন লেবু জল পান করেন এতে আপনার শরীরে প্রদাহ দূর হয়ে যাবে।

আপনার শরীর থেকে জল দ্বারা কমিয়ে টক্সিন বের করে দিবে। এর ফলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে দিবে। আপনারা যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী। লেবুতে প্রোটিন থাকার কারণে আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করবে। এর ফলে মেয়েটাবলিজম বাড়ায় যেটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

শেষ কথাঃ লেবুতে কোন এসিড থাকে

আপনারা যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানতে পেরে গেছে লেবুতে কোন এসিড থাকে। লেবুতে সাইটিক এসিড এবং ম্যালিক এসিড পরিপূর্ণ রয়েছে। তাছাড়া লেবুতে আরো অনেক ধরনের এসিড রয়েছে আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন বিস্তারিত জেনে গেছেন। 

কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা এছাড়াও লেবু সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন। এরকম স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিভিন্ন পোস্ট প্রতিনিয়ত এই ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করা হয়। আজ এই পর্যন্তই সকলে ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১